*এই পোস্টটি যারা নতুন বিশেষ করে তাদের জন্য * আপওয়ার্কে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হচ্ছে কাজ পাওয়া। কয়েকটা জবে বিড করার পর যেখানে ক্লায়েন্...
*এই পোস্টটি যারা নতুন বিশেষ করে তাদের জন্য *
আপওয়ার্কে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হচ্ছে কাজ পাওয়া। কয়েকটা জবে বিড করার পর যেখানে ক্লায়েন্টের কনভার্সেশন হয়না সেখানে কাজ পাওয়াটা দুরূহ বেপার। আসলেই কি ?
কিন্তু ভেবে দেখুন আপওয়ার্ক থেকে নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরী হচ্ছে নিয়মিত। অর্জন করছে রাইজিং ট্যালেন্ট, টপ রেটেড এর মতো ব্যাচ। তাহলে তাদের মধ্যে একজন আপনি নয় কেন !
যেহেতু আপনাকে প্রতি টা জবে বিড করলে পে করতে হচ্ছে। তাই বিড করবেন কোন জব গুলোতে সেটি নিয়ে আজ কথা বলবো।
আপওয়ার্কে খুটিনাটি বিষয় জানা খুবই জরুরি। যারা প্রথম সারির দিকে আছেন মানে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করছি আজ।
১০০% প্রোফাইল :
অনেকেই একাউন্ট করতে অনীহা প্রকাশ করে। প্রোফাইল ঠিক করবো করবো বলে আর করা হয় না। প্রোফাইল ঠিক করতেই অনেক সময় পার করে ফেলে । প্রোফাইল সম্পূর্ণ রূপে না সাজালে আপনার ভেতর কনফিডেন্স আসবে না। বিড করবেন ঠিকই কিন্তু কাজ পাবেন না। একটা সময় অনীহা চলে আসবে। প্রোফাইল অবশ্যই ১০০% কমপ্লিট থাকতে হবে। কোনো রকমের অসম্পূর্ণ একাউন্ট জব পাওয়ার জন্য ভালো ফল দেবেনা। প্রোফাইল আপডেট এর ক্ষেত্রে আপনার স্কিল অনুযায়ী ক্যাটাগরি নিৰ্বাচন , পোর্টফোলিও , জব হিস্ট্রি কে প্রিয়রিটি দেবেন
অল্প বাজেটের জব গুলোতে ফোকাস দিন:
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বড় প্রজেক্ট পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ প্রোফাইল অনুযায়ী আপনার পোর্টফোলিও অনেক দুর্বল। তাই আগে অল্প বাজেটের জব গুলোতে ফোকাস দিন। যাদের আওয়ার্লি রেট বেশি বা বেশি বাজেটের কাজ করতেছেন তারা ছোট বাজেটের কজে সময় দিতে অনীহা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। ওই কাজগুলো আপনার জন্য। লুফে নিন। সে ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলের জব কিনা , বাজেট, জব ক্যাটাগরি , জব পোস্টের সময় , পেমেন্ট ভেরিফাইড কিনা দেখে নিন।
পেমেন্ট আনভেরিফাইড ক্লায়েন্ট:
পেমেন্ট আনভেরিফাইড ক্লায়েন্ট এর জবগুলোতে আমরা অনেকেই বিড করতে চাইনা। কারণ কাজ শেষে পেমেন্ট নাও করতে পারে। এই ধারণার পরিবর্তন আনতে হবে। যদি আওয়ার্লি জব হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিড করতে পারেন। আপওয়ার্ক আওয়ার্লি রেট হিসেবে পেমেন্ট করবে। মানে এক ঘন্টা কাজ করার পর আওয়ার্লি রেট অনুযায়ী ডলার পেয়ে যাবেন।
ফিক্সড জবের ক্ষেত্রে যদি ক্লায়েন্ট একেবারে নতুন হয়ে থাকেন আর যদি প্রথম জব পোস্ট করে থাকেন তাহলে আপনি বিড করতে পারেন।
কভার লেটার লিখবেন যেভাবে:
কভার লেটার লেখার কোনো জাদু মন্ত্র নেই। অনেকেই দেখা যায় , বিশেষ করে নতুনরা টেম্পলেট কপি পেস্ট করে। একেবারে ভুল পথে যাচ্ছেন। কভার লেটার লেখা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনাকে যদি বলি আমার একটা ওয়েবসাইট লাগবে। তাহলে আপনি কি কি প্রশ্ন করতেন ?
ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট বুঝে আপনার উচিত আলোচনা করা। আপনি কি কি সার্ভিস দেবেন ক্লায়েন্টের প্রজেক্টটি করতে গিয়ে। সাথে আপনার ওই প্রজেক্টের সাথে রিলেটেড আগের কাজের কিছু লিংক শেয়ার করেন। যত অল্প কথা দিয়ে বোঝাবেন ততো ভালো। ক্লায়েন্টের চাহিদা কি সেটিকে গুরুত্ব দিন , আপনি কি পারেন সেটিকে না।
সবসময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন
ফেসবুকের মতো অপয়ার্ককেও সবসময় অনলাইনে রাখুন। বিড না করলেও ভিজিট করুন জব ফিড। ভিজিট করুন অন্যের প্রোফাইল। সবসময় সাথে থাকুন।
অনলাইনে থাকার বোরো সুবিধা হচ্ছে ক্লায়েন্ট আপনাকে ইনস্ট্যান্ট পাবে। অফলাইনে থাকলে ক্লায়েন্ট আপনাকে মেসেজ করতে অনীহা প্রকাশ করতে পারে। এটা পরীক্ষিত যে যারা অনলাইনে থাকেন তারা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকেন।
প্লাস মেম্বারশিপ কিনুন :
প্লাস মেম্বারশিপ কিনে রাখুন। সবসময় কিনে রাখতে না পারলেও মাঝে মধ্যে কিনে রাখুন। যেহেতু প্রতি বিডে ১৫ সেন্ট করে নিচ্ছে সে ক্ষেত্রে ১৫ ডলার খরচ করে ৭০ কানেক্টস নিয়ে রাখুন। এর সাথে আরো কিছু সুবিধা পাবেন। যেমন প্রোফাইল URL কাস্টমাইজ , আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কত বাজেটে বিড করেছেন তার এভারেজ এমাউন্ট , আপনার প্রোফাইল কখনোই প্রাইভেট হবে না।
জব খুঁজতে আপনার জব ক্যাটাগরি লিস্ট ব্যবহার করুন:
Find-Work পেইজ থেকে আপনার ক্যাটাগরি এর সাথে মেলে এমন জব আপনি দেখতে পাবেন। যেগুলোতে সকলেই বিড করার চেষ্টা করে। ভালো উপায় হচ্ছে আপনার ক্যাটাগরি লিস্ট এর থেকে জব খুঁজে নেয়া। Find Work পেইজের বাম দিকে My Category অপসন টি পাবেন। Find Work পেইজে সমস্ত জব সবার চোখে পরে না। কিন্তু My Category অপসন ব্যবহার করে আপনার কাঙ্খিত জব টি পেতে পারেন।
আপনার প্রোফাইল মার্কেটিং :
MY Stats পেইজে গেলে বুঝতে পারবেন প্রোফাইল এর ভিউ কেমন হচ্ছে। এটি বাড়ানো খুবই জরুরি। বিড করার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখবে। এছাড়া ভিউ বাড়ানোর জন্য Twitter কিংবা Linkedin ব্যবহার করতে পারেন সুন্দর একটা পোস্টার মাধ্যমে।
জব কন্ডিশন :
অনেক সময় ক্লায়েন্ট জব এ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার জন্য কন্ডিশন দিয়ে থাকেন। যেমন ৯০% জব সাকসেস স্কোর , লোকেশন: বেলজিয়াম , ১০০ আওয়ার কাজ করেছেন। এগুলোর সাথে ম্যাচ না করলে বিড করে লাভ হবে না।
স্কিল লেভেল:
কাঙ্খিত জবে বিড করার আগে স্কিল লেভেল কি রকম চাইছে , সেটি দেখে বিড করবেন। স্কিল লেভেল যদি এন্ট্রি লেভেল হয়ে থাকে আর জবে যদি ইন্টারমিডিয়েট বা এক্সপার্ট চেয়ে থাকে তাহলে বিড করে লাভ নেই।
কিন্তু আপনি লেভেল এক্সপার্ট দিয়ে থাকলে যে কোনো লেভেলের জবে বিড করতে পারবেন।
আশা করছি এই কাজ গুলো মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। আরো রিসার্চ করুন অনেক কিছু জানতে পারবেন। সবার শুভ কামনা রইলো
আপওয়ার্কে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হচ্ছে কাজ পাওয়া। কয়েকটা জবে বিড করার পর যেখানে ক্লায়েন্টের কনভার্সেশন হয়না সেখানে কাজ পাওয়াটা দুরূহ বেপার। আসলেই কি ?
কিন্তু ভেবে দেখুন আপওয়ার্ক থেকে নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরী হচ্ছে নিয়মিত। অর্জন করছে রাইজিং ট্যালেন্ট, টপ রেটেড এর মতো ব্যাচ। তাহলে তাদের মধ্যে একজন আপনি নয় কেন !
যেহেতু আপনাকে প্রতি টা জবে বিড করলে পে করতে হচ্ছে। তাই বিড করবেন কোন জব গুলোতে সেটি নিয়ে আজ কথা বলবো।
আপওয়ার্কে খুটিনাটি বিষয় জানা খুবই জরুরি। যারা প্রথম সারির দিকে আছেন মানে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করছি আজ।
১০০% প্রোফাইল :
অনেকেই একাউন্ট করতে অনীহা প্রকাশ করে। প্রোফাইল ঠিক করবো করবো বলে আর করা হয় না। প্রোফাইল ঠিক করতেই অনেক সময় পার করে ফেলে । প্রোফাইল সম্পূর্ণ রূপে না সাজালে আপনার ভেতর কনফিডেন্স আসবে না। বিড করবেন ঠিকই কিন্তু কাজ পাবেন না। একটা সময় অনীহা চলে আসবে। প্রোফাইল অবশ্যই ১০০% কমপ্লিট থাকতে হবে। কোনো রকমের অসম্পূর্ণ একাউন্ট জব পাওয়ার জন্য ভালো ফল দেবেনা। প্রোফাইল আপডেট এর ক্ষেত্রে আপনার স্কিল অনুযায়ী ক্যাটাগরি নিৰ্বাচন , পোর্টফোলিও , জব হিস্ট্রি কে প্রিয়রিটি দেবেন
অল্প বাজেটের জব গুলোতে ফোকাস দিন:
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বড় প্রজেক্ট পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ প্রোফাইল অনুযায়ী আপনার পোর্টফোলিও অনেক দুর্বল। তাই আগে অল্প বাজেটের জব গুলোতে ফোকাস দিন। যাদের আওয়ার্লি রেট বেশি বা বেশি বাজেটের কাজ করতেছেন তারা ছোট বাজেটের কজে সময় দিতে অনীহা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। ওই কাজগুলো আপনার জন্য। লুফে নিন। সে ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলের জব কিনা , বাজেট, জব ক্যাটাগরি , জব পোস্টের সময় , পেমেন্ট ভেরিফাইড কিনা দেখে নিন।
পেমেন্ট আনভেরিফাইড ক্লায়েন্ট:
পেমেন্ট আনভেরিফাইড ক্লায়েন্ট এর জবগুলোতে আমরা অনেকেই বিড করতে চাইনা। কারণ কাজ শেষে পেমেন্ট নাও করতে পারে। এই ধারণার পরিবর্তন আনতে হবে। যদি আওয়ার্লি জব হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিড করতে পারেন। আপওয়ার্ক আওয়ার্লি রেট হিসেবে পেমেন্ট করবে। মানে এক ঘন্টা কাজ করার পর আওয়ার্লি রেট অনুযায়ী ডলার পেয়ে যাবেন।
ফিক্সড জবের ক্ষেত্রে যদি ক্লায়েন্ট একেবারে নতুন হয়ে থাকেন আর যদি প্রথম জব পোস্ট করে থাকেন তাহলে আপনি বিড করতে পারেন।
কভার লেটার লিখবেন যেভাবে:
কভার লেটার লেখার কোনো জাদু মন্ত্র নেই। অনেকেই দেখা যায় , বিশেষ করে নতুনরা টেম্পলেট কপি পেস্ট করে। একেবারে ভুল পথে যাচ্ছেন। কভার লেটার লেখা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনাকে যদি বলি আমার একটা ওয়েবসাইট লাগবে। তাহলে আপনি কি কি প্রশ্ন করতেন ?
ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট বুঝে আপনার উচিত আলোচনা করা। আপনি কি কি সার্ভিস দেবেন ক্লায়েন্টের প্রজেক্টটি করতে গিয়ে। সাথে আপনার ওই প্রজেক্টের সাথে রিলেটেড আগের কাজের কিছু লিংক শেয়ার করেন। যত অল্প কথা দিয়ে বোঝাবেন ততো ভালো। ক্লায়েন্টের চাহিদা কি সেটিকে গুরুত্ব দিন , আপনি কি পারেন সেটিকে না।
সবসময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন
ফেসবুকের মতো অপয়ার্ককেও সবসময় অনলাইনে রাখুন। বিড না করলেও ভিজিট করুন জব ফিড। ভিজিট করুন অন্যের প্রোফাইল। সবসময় সাথে থাকুন।
অনলাইনে থাকার বোরো সুবিধা হচ্ছে ক্লায়েন্ট আপনাকে ইনস্ট্যান্ট পাবে। অফলাইনে থাকলে ক্লায়েন্ট আপনাকে মেসেজ করতে অনীহা প্রকাশ করতে পারে। এটা পরীক্ষিত যে যারা অনলাইনে থাকেন তারা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকেন।
প্লাস মেম্বারশিপ কিনুন :
প্লাস মেম্বারশিপ কিনে রাখুন। সবসময় কিনে রাখতে না পারলেও মাঝে মধ্যে কিনে রাখুন। যেহেতু প্রতি বিডে ১৫ সেন্ট করে নিচ্ছে সে ক্ষেত্রে ১৫ ডলার খরচ করে ৭০ কানেক্টস নিয়ে রাখুন। এর সাথে আরো কিছু সুবিধা পাবেন। যেমন প্রোফাইল URL কাস্টমাইজ , আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কত বাজেটে বিড করেছেন তার এভারেজ এমাউন্ট , আপনার প্রোফাইল কখনোই প্রাইভেট হবে না।
জব খুঁজতে আপনার জব ক্যাটাগরি লিস্ট ব্যবহার করুন:
Find-Work পেইজ থেকে আপনার ক্যাটাগরি এর সাথে মেলে এমন জব আপনি দেখতে পাবেন। যেগুলোতে সকলেই বিড করার চেষ্টা করে। ভালো উপায় হচ্ছে আপনার ক্যাটাগরি লিস্ট এর থেকে জব খুঁজে নেয়া। Find Work পেইজের বাম দিকে My Category অপসন টি পাবেন। Find Work পেইজে সমস্ত জব সবার চোখে পরে না। কিন্তু My Category অপসন ব্যবহার করে আপনার কাঙ্খিত জব টি পেতে পারেন।
আপনার প্রোফাইল মার্কেটিং :
MY Stats পেইজে গেলে বুঝতে পারবেন প্রোফাইল এর ভিউ কেমন হচ্ছে। এটি বাড়ানো খুবই জরুরি। বিড করার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখবে। এছাড়া ভিউ বাড়ানোর জন্য Twitter কিংবা Linkedin ব্যবহার করতে পারেন সুন্দর একটা পোস্টার মাধ্যমে।
জব কন্ডিশন :
অনেক সময় ক্লায়েন্ট জব এ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার জন্য কন্ডিশন দিয়ে থাকেন। যেমন ৯০% জব সাকসেস স্কোর , লোকেশন: বেলজিয়াম , ১০০ আওয়ার কাজ করেছেন। এগুলোর সাথে ম্যাচ না করলে বিড করে লাভ হবে না।
স্কিল লেভেল:
কাঙ্খিত জবে বিড করার আগে স্কিল লেভেল কি রকম চাইছে , সেটি দেখে বিড করবেন। স্কিল লেভেল যদি এন্ট্রি লেভেল হয়ে থাকে আর জবে যদি ইন্টারমিডিয়েট বা এক্সপার্ট চেয়ে থাকে তাহলে বিড করে লাভ নেই।
কিন্তু আপনি লেভেল এক্সপার্ট দিয়ে থাকলে যে কোনো লেভেলের জবে বিড করতে পারবেন।
আশা করছি এই কাজ গুলো মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। আরো রিসার্চ করুন অনেক কিছু জানতে পারবেন। সবার শুভ কামনা রইলো
COMMENTS